School of Athens full cover
School of Athens front cover
School of Athens full cover

School of Athens: Raphael-er Chhobi-te Greece-er Bidwat-Sabha

Author:
Sakti Sadhan Mukhopadhyay

$19.99

Quantity:
SKU: VAP69 Brand:
Also available at:

Dr. Sakti Sadhan Mukhopadhyay

ISBN: 978-81-945187-7-8
Published: 9 April 2021
Language: Bengali
Pages: 164
Binding: Hardbound
Published by: Virasat Art Publications
A Bengali book on marvellous gathering of ancient Greek Philosophers in Raphael’s The School of Athens written by an eminent Renaissance scholar Dr. Sakti Sadhan Mukhopadhyay.

দেওয়ালের পিঠে চুনের আস্তর লাগিয়ে তার গায়ে যে ছবি আঁকা হয় তাকে বলে ফ্রেস্কো। আর ইতালির ‘নবজাগরণ’ এর সময়কার তিন বিখ্যাত ত্রয়ীদের – মাইকেল এঞ্জেলো, লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি এবং রাফায়েল উর্বিনো একজন রাফায়েল পোপ-নগরী ভ্যাটিকানে “স্কুল অফ এথেন্স” নামের যে ফ্রেস্কোটি এঁকে গেছেন, তা এই পাঁচশো বছরের পরেও যুগপৎ বিস্ময় ও রহস্য- দুটোই বজায় রেখেছে। আমরা জানি যে সেই ‘রেনেসাঁস’ লগ্নে ইতালির চিন্তাবিদরা বর্তমানের পাপবোধ, হানাহানি ও অনৈতিকতার বিকল্পে এক প্রাচীন নৈতিকতার আশ্রয় নিতে চেয়েছিলেন। তাই প্রাচীন গ্রীস-এর দার্শনিক চেতনাই প্রাথমিকভাবে এর উপজীব্য ছিল। যদিও এই ফিরে পাওয়ার ব্যাপারটি খুব সহজভাবে সম্পাদনা করা যায়নি।

সেইসব চিন্তাবিদগণের মধ্যে বৌদ্ধিক বিবাদও ছিল, তাঁদের মানবতার তত্ত্ব ক্রমে ধর্মীয় মানবতায় রূপান্তরিত হয়েছিল। এক্ষেত্রে বলা যায় ইতালির রেনেসাঁ আর যেভাবেই বর্ণিত হোক না কেন, দৃশ্যকলায় যেসব মহান সৃষ্টি এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে হয়ে উঠেছিল তা সত্যি-ই বিস্ময়কর! আর রাফায়েলকৃত এই ভিত্তিচিত্রটি আজও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু, কারণ এতে অঙ্কিত আটান্ন জন গ্রীক দার্শনিক ঠিক কারা তা নিয়ে বিতর্ক আজও চলেছে। এমনকি নানা সামাজিক মাধ্যমে সেইসব চরিত্রের মধ্যে কার থাকা উচিৎ ছিল বা ছিল না এমন প্রসঙ্গও আছে।

রাফায়েল এই ছবি আঁকার আগে সেইসব দার্শনিকদের ছবি দেখেছিলেন, সেই সম্ভাবনা নেহাৎই কম। তাঁদের কারোর কারোর অর্ধ এবং পূর্ণাবয়ব মূর্তি কিছু আবিষ্কৃত হয়, কিন্তু তার অনেকগুলোই রাফায়েলের মৃত্যুর পরে। তাই তাঁকে কল্পনার আশ্রয় নিতে হয়েছিল। কারোর কারোর মুখ এঁকেছিলেন সমসাময়িক শিল্পীদের মুখের আদলে। ছবির নামকরণও করেছিলেন ভ্যাটিকান কর্তৃপক্ষ। সুতরাং, এই ছবি যুগে যুগে চূড়ান্ত উৎকর্ষ প্রকাশের সঙ্গে প্রবল তর্কের ইন্ধনও নিয়ে এসেছে। এ নিয়ে বই লেখা যে দুরূহ কর্ম তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই এই বই-এর লেখক শক্তিসাধন যে এক অসাধ্য সাধন করেছেন তা বলা বাহুল্য।

তবে এই কৃতি অধ্যবসায়ী গবেষক কেবল দার্শনিক চিহ্নিত করেই ক্ষান্ত থাকেননি বরং শিল্পীর তিরোধানের পাঁচশো বছর পূর্তিতে তাঁর এই শিল্পকর্মকে সামনে রেখে ছত্রে ছত্রে তুলে এনেছেন সেই ইতালীয় রেনেসাঁসের বিস্তারিত তথ্য ও তত্ত্ব। আর এটাই এই গ্রন্থের সার্থকতা।

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “School of Athens: Raphael-er Chhobi-te Greece-er Bidwat-Sabha”

Your email address will not be published. Required fields are marked *

About the Author

১৯৫১ সালে মামার বাড়ি পাঁচড়ায় জন্ম। গ্রাম- জুতিহাটি, কেওটাড়া, পূর্ব বর্ধমান। পড়াশুনা - ঝাপানডাঙা পরেশনাথ বিদ্যামন্দির, পাঁচড়া সাগরচন্দ্র রক্ষিত। স্মৃতি বিদ্যামন্দির, বর্ধমান রাজ কলেজ, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়। হোমিওপ্যাথি ডিসপেনসারিতে কম্পাউন্ডারি দিয়ে কর্মজীবন শুরু। চাকরি করতে করতেই এম. এ. পড়া। বাংলা সাহিত্যে অধ্যাপনা - জঙ্গিপুর কলেজ ও খিদিরপুর কলেজ। ইউ. জি. সি. টিচার-ফেলোশীপ পেয়ে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রেনেসাঁস নিয়ে গবেষণা করে পিএইচ. ডি. ডিগ্রি লাভ। গ্রামে 'ঝাপানডাঙা সাধারণ পাঠাগার'-এর আদি পরিকল্পক ও সংগঠক। অধ্যাপনা থেকে অবসর গ্রহণের পর 'বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদে' সম্পাদকের দায়িত্ব পালন (২০১২-২০১৬) রেনেসাঁস, ডিরোজিও ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে ৩৫ টির বেশি গবেষণামূলক গ্রন্থের লেখক ও সম্পাদক।

তাঁর প্রথম গ্রন্থ ইতালীয় রেনেসাঁসের আলোকে বাংলার রেনেসাঁস (২০০০), সম্প্রতি প্রকাশিত গ্রন্থ 'রেনেসাঁসের আলোকে হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও' (২০২৪), 'ডিরোজিও বৃক্ষ' (২০২৫)। বর্তমানে এবং জলঘড়ি পত্রিকার সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য।